এতদিন ভারতের জমি বেআইনিভাবে দখল করছিল তারা। যা নিয়ে গত সপ্তাহেও বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ হয়েছে দু-দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। এবার চীনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলল কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত নেপাল সরকার। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকারের কৃষিমন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তিব্বতের দিক থেকে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে চীন। আর সেই কাজ করতে গিয়ে অন্তত ১১টি জায়গায় সীমান্ত লঙ্ঘন করে নেপালের জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে ১০টি জায়গায় ৩৩ হেক্টর জমি ইতিমধ্যেই নেপালের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, নেপালের ভূখণ্ডের পাহাড়ি নদীগুলির গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে তিব্বতে জলের জোগানের ব্যবস্থাও পাকা করছে চীন।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালের হুমলা জেলায় ১০ হেক্টর এবং রাসুওয়া জেলায় ৬ হেক্টর জমি ইতিমধ্যেই দখল করে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। পাশাপাশি, বাগডারে খোলা এবং কার্নালি নদীর গতিপথও পরিবর্তন করা হয়েছে। সেগুলির গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে চীন অধিকৃত তিব্বতের দিকে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে নেপালের বেশ কিছু কৃষিক্ষেত্রে জল সঙ্কট তৈরি হওয়ার চরম আশঙ্কা রয়েছে।
একইভাবে তিব্বত থেকে নেপালের দিকে প্রবাহিত সুমজং, কামখোলা এবং অরুণ নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ায় নেপালের সঙ্খুয়াসভা জেলায় জলের অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই জেলায় নেপালের ৯ হেক্টর জমি ইতিমধ্যেই চীনের দখলে চলে গিয়েছে। নেপাল কৃষিমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এ ভাবে নদীর গতিপথ বদলে জমি দখলের প্রক্রিয়া জারি থাকলে অচিরেই আমাদের কয়েকশো হেক্টর জমি তিব্বতের হয়ে যাবে।’
এর আগে নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার সীমান্তবর্তী ১১ হেক্টর জমি ‘তিব্বতের অংশ’ হিসেবে দাবি করেছিল চীন। ঠিক এই অংশেই খারানে খোলা এবং ভোটে কোশি নদীর গতিপথ আলাদা হয়েছে। বর্তমানে নেপালের আশঙ্কা, হিমালয়ের বরফগলা জলে পুষ্ট ওই দুই নদীর গতিপথও ভবিষ্যতে তিব্বতের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করবে চীনা ইঞ্জিনিয়াররা।