বছর তিনেক আগে ভাঙড় বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সাবস্টেশন তৈরি হয়ে গেলেও, বাড়ি এবং কৃষি জমির উপর দিয়ে হাই-ভোল্টেজ লাইন টানার কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের প্রবল বাধার মুখে পড়ে সংস্থাটি। এবার ধাপে ধাপে সেই সব বাধা কাটিয়ে কাজ শেষ হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের কথাও শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, ভাঙড় সাবস্টেশনের সঙ্গে হাই-ভোল্টেজ তারের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদের গোকর্ণ সাবস্টেশনের যোগাযোগ তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। পাশাপাশি পাওয়ার গ্রিডের বিহারের পূর্ণিয়া সাবস্টেশন থেকে ফরাক্কা ও গোকর্ণের মধ্যেও তারের যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। পরের দফায় শুধু গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আর তা হয়ে গেলে উপকৃত হবেন রাজারহাট, নিউটাউন-সহ কলকাতা শহরতলি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক। রাজ্যের বিদ্যুৎ সংবহন ক্ষমতাও ৩০০০ মেগাওয়াট বেড়ে যাবে।
বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সব সময়েই রাজ্যের শক্তিশালী বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা থাকা দরকার। ভাঙড় প্রকল্প চালু হলে রাজ্য নিজের প্রয়োজনে অনেক বেশি বিদ্যুৎ যেমন নিতে পারবে, তেমনই ভোল্টেজও জোরালো হবে।
পাওয়ার গ্রিডের এক পদস্থ কর্তা জানান, বিদ্যুৎ দেওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি-সহ কিছু ছোটখাটো কাজ চলছে। করোনার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা এক সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না। তাই কিছুটা সময় লাগছে।