গত কয়েক সপ্তাহ আগেই এই বর্ণবৈষম্যের কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। গায়ের রং কাল হওয়ায় আমেরিকায় প্রকাশ্য রাস্তায় এক ব্যক্তিকে খুন করেছিল পুলিশ। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও গায়ের রঙ চাপা হলে বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় প্রায় সব জায়গাতেই। যেমন বিয়ের ক্ষেত্রে গায়ের রঙ চাপা হলেই ভাল পাত্র হাতছাড়া হয়ে যায়। এখনও অনেক জায়গাতেই পাত্রীর উজ্জ্বল-ফর্সা ছবিই মনে ধরে পাত্রপক্ষের। এমন ভাবনা থেকেই স্কিন কালার ফিল্টারটি বেশ গর্বের সঙ্গেই শোভা পেত শাদি.কম-এ। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ ফিল্টারটি সরিয়ে দিল এই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট।
আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিনোদুনিয়া থেকে খেলার জগতের তারকারা। তারই মধ্যে রোষের মুখে পড়ে শাদি.কম-এর স্কিন কালার ফিল্টারটিও। পাত্র কিংবা পাত্রীর খোঁজে গায়ের রঙকে অন্যভাবে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা হেতাল লাখানি। এই অপশনটি সরানোর দাবিতে অনলাইনে আবেদন জানান তিনি।
সেই আবেদনে তিনি লেখেন, ‘এশিয়ার দক্ষিণের দেশগুলিতে এখনও গায়ের রংয়ের প্রতি আলাদা দূর্বলতা আছে। ওই জন্যই শাদি.কম-এও গায়ের রঙ বদলে ফেলার একটি ফিল্টার দেওয়া রয়েছে। অর্থাৎ গায়ের রং বিচার করে পাত্র-পাত্রী খোঁজার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমরা চাই এই ওয়েবসাইটটি চিরকালের মতো ফিল্টারটি সরিয়ে ফেলুক। যাতে সঠিক গায়ের রঙের মানুষ পরস্পরকে চিনে নিতে পারে।’ এই আবেদনেই মেলে বিপুল সাড়া। সেই আবেদনে সই করেন ১৬০০-এরও বেশি মানুষ। যার ফলে শেষমেশ মাথা নত করতে হয় বিয়ের পাত্র-পাত্রী খোঁজ দেওয়ার এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটিকে।