আর্থিক সংকট কাটাতে এবার নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, নতুন সব ধরনের পদকে ‘ফ্রিজ’ করা হবে। পাশাপাশি, এখনও যে নিয়োগগুলি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৈরি হচ্ছে আকশন প্ল্যান।
সূত্রের খবর, ব্যায় সংকোচনের জন্য একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। জেনারেল ম্যানেজার ও ডিআরএমদের বার্ষিক নিরীক্ষনের ব্যায় সংকোচন করা হবে। আধিকারিকদের অধিকাংশ মিটিং, ই-অফিস ভিডিও কনফারেন্সে হবে। কাগজ ও কারটেজের পঞ্চাশ শতাংশ খরচ কমাতে ফাইল চালাচালি বন্ধ হবে। কমানো হবে স্টাফদের গাড়ির খরচ। নতুন ফার্নিচার, গাড়ি, কম্পিউটার, প্রিন্টার, কেনা বন্ধ। বার্ষিক সভা থেকে উদ্বোধনের কাজ সবই হবে অনলাইনে। সুরক্ষা, চিকিৎসা ছাড়া সব বিভাগে ক্যাশ আওয়ার্ড দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি, রি-এনগেজ কর্মীর সংখ্যাও কমানো হবে বলে জানা গিয়েছে। গত দু’বছর ধরে যে সব শূন্য পদ রয়েছে, তা ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হলে তা ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভেশন কেন্দ্র কমিয়ে সেই কর্মীদের অন্যত্র কাজ করানো ও রক কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে একাধিক বিভাগে কাজ করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনগুলি। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘১৯৭৪ সালে রেলে কর্মী সংখ্যা ছিল কুড়ি লক্ষ। এখন কমে ১৩ লক্ষে নেমেছে। অথচ প্রচুর গাড়ি বেড়েছে। কাজের প্রক্রিয়া বেড়েছে। কর্মী কমানোয় কর্মরতদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। পাশাপাশি বেকারদের স্বপ্ন পূরণ হবে না।’