করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ফের বন্যায় বিপর্যস্ত হল আসাম। এই নিয়ে গত এক মাসের ব্যবধানে দু’বার বন্যা হল এই রাজ্যে। ব্রহ্মপুত্র নদ এবং তার অন্যান্য শাখানদী ও উপনদী সবেতেই জলের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। দ্বিতীয়বারের বন্যায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার মানুষ জলবন্দী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে আসাম এবং সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সম্প্রতি শিবসাগর জেলার নাজিরা এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন একজন।
আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, জোরহাট জেলার কাছে নিয়ামতিঘাটের কাছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। এছাড়াও শিবসাগর জেলার কাছে দিখই নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও ধানসিঁড়ি নদীর ক্ষেত্রে জল বেড়েছে গোলাঘাট জেলার নুমালিয়াগড়ের কাছে এবং জিয়া ভরলি নদীর জল বেড়েছে সোনিতপুর জেলায়। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ধীমাজি, শিবসাগর, জোরহাট এবং ডিব্রুগড় জেলার। এই চার জেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বর্তমানে পুরোপুরি জলবন্দী। অন্তত ৩৬০০ হেক্টর চাষের জমি পুরোপুরি ভাবে ডুবে গিয়েছে জলের তলায়।
গতমাসে হওয়া বন্যা এবং হড়পা বানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল আসামে। বন্যার জলের তোড়ে সেইসময় ভেসে গিয়েছিল অসংখ্য ঘরবাড়ি। জলের তলায় ডুবেছিল চাষের জমি। মারা গিয়েছিল গবাদি পশুরাও। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের বন্যা হয়েছে আসামে। ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। গত ২৪ ঘণ্টায় শিবসাগর এবং ধীমাজি জেলার বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।