বিশ্ব ক্রিকেটে গত কয়েক বছরের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ইতিহাস যদি খতিয়ে দেখা যায়, তাহলে সেটা হল পাকিস্তান। বিগত কয়েক বছরে একের পর এক পাক জাতীয় দলের তারকা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, অনেকে নির্বাসিতও হয়েছেন। কিন্তু তাতেও শিক্ষা না নিয়ে ফের দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন অন্য ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেট দুর্নীতির পীঠস্থান পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার এক শীর্ষকর্তা বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, ‘পাকিস্তান নয়, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ফিক্সিং এবং দুর্নীতি হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটে।’
২০১৩ আইপিএল স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ছাড়া গত এক দশকে ভারতীয় ক্রিকেটে বড় দুর্নীতির ঘটনা সে অর্থে নেই। কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে ছোটখাটো দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে বটে, কিন্তু তাতেও বড় নামের কোনও তারকা জড়িয়ে পড়েননি। আর সেখানেই যত সমস্যা। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্তা স্টিভ রিচার্ডসন বলছেন, ‘সমস্যাটা এখানেই। বড় কোনও ম্যাচে দুর্নীতি করতে না পেরে ফিক্সাররা ছোট ছোট ম্যাচে গড়াপেটা করছে। রাজ্য লিগ, টিভিতে দেখানো হয় এমন ছোটখাটো বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে চলছে দেদার ফিক্সিং। টার্গেট করা হচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম আয়ের ক্রিকেটারদের। তার থেকেও অনেক বেশি টার্গেট করা হচ্ছে সাপোর্ট স্টাফ, এবং ক্রিকেটের থেকে যুক্ত অন্যদের।’
রিচার্ডসন বলছেন, ‘বড় মঞ্চ না পাওয়ায় জুয়াড়িরা এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দিয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মোট ৫০টি ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে আইসিসি। তার মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গেই সরাসরি ভারতের নাম যুক্ত। এখানে যে সব জুয়াড়িরা নিয়মিত অপরাধ করছে তাদের তালিকাও আছে আইসিসির কাছে। ক্রিকেটাররা এখানে শেষ ঘুঁটি। আসল দোষী হল যারা ক্রিকেট খেলায় টাকা ঢালে তাঁরা। রিচার্ডসনের দাবি, ভারতে বসে নিয়মিত দুর্নীতি করছে অন্তত আটজন জুয়াড়ির নাম রয়েছে তাঁর কাছে। আর এই নিয়েই তদন্ত করছে আইসিসি।’