লাদাখ সীমান্তে চরমে উঠেছে ভারত-চীন সঙ্ঘাত। সোমবারই চীনা সেনার আক্রমণে ইতিমধ্যেই শহীদ হয়েছেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। এই পরিস্থিতিতে দেশে চলছে প্রবল চীন বিরোধী বিক্ষোভ। চিনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। কেউ কেউ দাবি তুলছেন, চিনের পণ্য সম্পূর্ণ বয়কট করে চীনকে ভারতীয় বাজার থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য করতে হবে। ভারতের বিশাল বাজার হাতছাড়া হলে বিপদে পড়বে চীন। কিন্তু তার পরিবর্ত হিসেবে ভারতীয় পণ্য তৈরির কথা বলছে না কেউই। আর এমনিতেও ধুঁকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প। যার ফলস্বরূপ ওয়েলিংটন থেকে মল্লিকবাজার, কলকাতার প্রায় সমস্ত গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকানেই গাড়ি শিল্পের যন্ত্রাংশ ভারতীয় সংস্থার প্রায় নেই বললেই চলে। বেশিরভাগই চীনা যন্ত্রাংশ বিক্রি হচ্ছে কলকাতার বাজার জুড়ে।
প্রসঙ্গত, চাইলেই বাতিল করা যাবে এই অবস্থা এখনও বজায় নেই কলকাতার গাড়ি যন্ত্রাংশের বাজারে। ফলে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা যাবে না শুনে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের৷ গাড়ির চাকা, গিয়ার বক্স, পিস্টন, হেড লাইটের বাল্ব সবটাই চিনা সংস্থার যন্ত্রের রমরমা। এছাড়া গাড়ির অন্দরে সিট কভার, সুগন্ধি এমনকি শো-পিস সবটাই সেই চিনা সংস্থার তৈরি। ইতিউতি কথাবার্তা বলে মেড ইন ইন্ডিয়া লেখা প্যাকেট খুঁজে পাওয়া গেলেও, দোকানিরা জানাচ্ছেন, এর সবটাই আসলে চীন থেকে তৈরি হয়। ভারতে নিয়ে আসার পর কিছু সংস্থা প্যাকেজিং করে মেড ইন ইন্ডিয়া লিখে দেয়। ওয়েলিংটনে অন্যতম বড় দোকান বোম্বে মোটর্সের মালিক ভিনেশ সোমিয়া বলেন, ‘চীনা যন্ত্রাংশের যা বাজার বিশ্ব জুড়ে তাতে অন্যদের পক্ষে লড়াই করা সম্ভব নয়। কারণ সস্তা জিনিস, প্রচুর রকমের জিনিস৷ ফলে বাছাইয়ের কোনও জায়গাই নেই।’