গোটা বিশ্বেই বর্তমানে করোনা-সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিনই ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রতিষেধকের খোঁজ নেই, অথচ সংক্রমণ ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মৃত্যু। তবে, এবার সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই স্বস্তির খবর। এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করলেন নাইজেরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার নাইজেরিয়ান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন, সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯-র ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন তাঁরা। তবে এই ভ্যাকসিন আপাতত আফ্রিকায় আক্রান্তদের জন্য ব্যবহার করা হবে। এরপরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।
ভ্যাকসিন আবিস্কারক দলের প্রধান গবেষক ও মেডিক্যাল ভাইরোলজি স্পেশালিস্ট ড. ওলাদিপো কোলাওলে সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘দলের গবেষকরা আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ জিনোম সিকোয়েন্স সংগ্রহ করেন। সেটার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে এই টিকা। এধরণের বৈশ্বিক মহামারীর সমাধান খুঁজে পাওয়াটা আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের আবিষ্কৃত এই ভ্যাকসিনটি একেবারে খাঁটি। এটা ভুয়ো হতে পারে না। বেশ কয়েকবার যাচাইয়ের পরই বিশ্বের সামনে এই ঘোষণা করতে এগিয়ে এসেছি।’
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘ভ্যাকসিনটি আপাতত আফ্রিকার মানুষদের কথা মাথায় রেখেই বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সুফল মিললেই দেওয়া হবে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে। তবে টিকাটির নামকরণ এখনও হয়নি। নামহীন এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বের সামনে মুক্তি পেতে আরও ১৮মাস সময় লাগবে।’ চিকিত্সক কোলাওলে জানিয়েছেন, বিশ্ববাসীর জন্য এখনও দরকার আরও পরীক্ষা, পড়াশোনা, মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে লাগাতার পরামর্শ ও অনুমতির পর এই ভ্যাকসিন সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।