গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। আহত হন আরও ৭৬ জন। সেদিনের সংঘর্ষের পর থেকেই গোটা দেশ চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। দেশজুড়ে যেমন চীনা পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ যুদ্ধ রবও উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজনীতিবিদ ও অভিনেতা কমল হাসান।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ‘মানসিকভাবে ম্যানুপুলেট’ করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। শুক্রবারের সর্বদলীয় বৈঠকের দিকে ইঙ্গিত করে মক্কাল নিধি মইয়ম প্রধান বলেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমাদের সীমানায় কেউই ঢোকেনি বা আমাদের কোনও আর্মি পোস্ট দখল করা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করে কমল হাসান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি লাদাখ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় কী হচ্ছে, তা নিয়ে সঠিক ধারণা দেননি প্রধানমন্ত্রী। কেন ভারতীয় সেনার উপর এভাবে নৃশংস আক্রমণ হল, তা নিয়েও বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতের অঞ্চলকে চিনা আগ্রাসনের কাছে সমর্পণ করেছেন। বৈঠকে তিনি জানতে চান কীভাবে ভারতীয় সেনারা শহীদ হলেন।
এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কমল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই জাতীয় বক্তব্য মানুষকে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সমর্থকদের কাছে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন এভাবে মানুষকে ম্যানুপুলেট করা করা বন্ধ করেন। প্রশ্ন কখনও দেশবিরোধী হিসাবে গণ্য হতে পারে না। প্রশ্ন করার অধিকার গণতন্ত্রের ভিত্তি। আমরা সত্যিটা না জানা পর্যন্ত জিজ্ঞাসা চালিয়ে যাব।’
কমলের কথায়, এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সঠিক তথ্য জানানো সরকারের দায়িত্ব। শুধু ‘সেনাবাহিনীকে সন্দেহ করবেন না’ বা ‘দেশবিরোধী হবেন না’- এই কথাগুলি বলার চেয়ে এই সময় তথ্য জানানো আরও বেশি করে দরকার। সবাই এখন এসবের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। এখন স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কমল।