চীন-ভারত সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোলে অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে বদল আনল ভারতীয় সেনা। বদলে ফেলল এক দশকের বেশি সময়ের পুরনো চুক্তি। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নিয়ম বদলে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সেনাদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত অফিসিয়ালি ঘোষিত হল। এই বিশেষ ক্ষমতাবলে প্রকল্প পিছু ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং সরঞ্জাম কিনতে পারবে তিন বাহিনীই৷ চীনের সঙ্গে সংঘাত যদি আরও বড় আকার ধারণ করে, সেকথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারের এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, ‘তিন বাহিনীর ভাইস চিফকেই প্রকল্প পিছু ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং সরঞ্জাম যাতে কেনা যায়, সেকথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷’
বালাকোটে প্রত্যাঘাতের পরে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সবথেকে বেশি ফায়দা উঠিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা৷ সেই সময় এই আর্থিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে Spice 2000 এয়ার টু গ্রাউন্ড স্ট্যান্ড অফ মিসাইল, Strum Ataka এয়ারা টু গ্রাউন্ড মিসাইল সহ বেশ কিছু জরুরি অস্ত্র এবং সরঞ্জাম কিনেছিল তারা৷
এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ইজরায়েলের অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে৷ অল্প সময়ের মধ্যে বাহিনী যাতে প্রস্তুতি সারতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, এমনটা যে হতে পারে, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর ছিল, চীনা সেনাবাহিনী উগ্রতা দেখালে কিংবা চোখ রাঙালেই ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। উপযুক্ত জবাব দেবে। সে ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।