ফের গেরুয়া শিবিরে ভাঙন। রবিবার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গোবরডাঙা পুরসভা এলাকার বিজেপির নেতা, কর্মীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘যে যে গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও বিজেপি–র দখলে রয়েছে, সেগুলির সবই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের দখলে চলে আসবে। সেখানকার প্রধান–সহ পঞ্চায়েতের অন্য বিজেপি সদস্যরা সবাই স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করবেন।’ এই কর্মসূচিতে জ্যোতিপ্রিয় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস, গোবরডাঙা শহর তৃণমূলের সভাপতি শঙ্কর দত্ত, রাজীব দত্ত– সহ অন্যরা।
সম্প্রতি বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এদিন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “আমরাও এক সময় বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা কখনও এই ধরনের প্ররোচনামূলক কথা বলিনি। এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদেবের। এখানে বদলা চলে না। এখানে মানুষকে ভালবেসে বুকে টেনে নিতে হয়। যেটি মমতা ব্যানার্জি করে দেখিয়েছেন। আর তাই আগামী পাঁচবারের জন্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা ব্যানার্জি। আর তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচার চালানো হচ্ছে। এভাবে বাংলার ক্ষমতায় আসা যায় না। অসত্য বলে ক্ষমতায় আসা যাবে না। বাংলার ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের জন্য কী করতে হয়, তা মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে শিখতে হবে”।