করোনার থাবায় যখন থরহরিকম্প গোটা দেশই, তখন খানিকটা স্বস্তি বাংলায়। কারণ প্রতিদিনই বাংলায় কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমছে। গত ৮ দিনে এই নিয়ে সপ্তমবার। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিন বলছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫০৯৩। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা সুস্থতার হার ৫৯.৪৯ শতাংশ। ঠিক একমাস আগে রাজ্যে সুস্থতার হার ছিল ৩৬.৬৪ শতাংশ।
শনিবার পর্যন্ত মোট ৩৯০৯৪২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩২ জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন। সেই ছাড়া পাওয়ার হার এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ, ৫৯.৪৯ শতাংশ। কলকাতা ও সংলগ্ন চারটি জেলা বাদে অন্যান্য জেলাগুলিতেও সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার বাড়ছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৩৯৪৫। ছাড়া পেয়েছেন ৮৮৯৭ জন। মৃতের সংখ্যা ৫৫৫।
মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও চারটি ল্যাব যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য। আরও একটি ল্যাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রাজ্যে মোট ৭৭ টি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। কোভিড হাসপাতালে মোট আইসিইউ বেডের সংখ্যা ৯৪৮ এবং ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯৫ টি। অন্যদিকে, সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে রবিবার পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৯০৩৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ। সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আছেন ৮৮৯৭ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৩৭৮৩৮ জন।
পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং তা কার্যকর করেছে। প্রথম ধাপে জেলায় জেলায় নতুন করে করোনা হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত পেতে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, এমনকী জেলা হাসপাতালেও মেশিন বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সংক্রমণের রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ায় চিকিৎসাও তাড়াতাড়ি শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় তাই সুফল মিলেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে।