আজ সাতসকালে ফের গুলির লড়াইয়ে উত্তাল হল শ্রীনগর। সূত্রের খবর, এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ৩ জঙ্গী। গোপন সূত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর ছিল, শ্রীনগরের জাদিবল এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে ৩ জন জঙ্গী। আর আজ সকালে সেই সূত্র ধরেই জুনিমার পোজাওয়ালপোরা এবং জাদিবল এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। সেনার উপস্থিতি টের পেতেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। আরও কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান করছে নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনা। বন্ধ রাখা হয়েছে এলাকার মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। কড়া নিরাপত্তায় চলছে টহলদারি।
জাতীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এই তিন জঙ্গীকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। এমনকি সূত্র মারফত এদের পরিচয় জেনে বাড়ির লোকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তবে পরিবারের আর্তিতেও সাড়া দেয়নি এরা। সাফ জানায় আত্মসমর্পণ করবে না। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে একজন গতবছর থেকেই উপত্যকায় নাশকতামূলক কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল।আর একজন গতমাসে দু’জন বিএসএফ জওয়ানের উপর হামলায় সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিল।
বিগত ১ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এনকাউন্টার হল শ্রীনগরে। মে মাসে সেনার হাতে এনকাউন্টারে খতম হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিনের দুই কম্যান্ডার। তাদের মধ্যে একজন ছিল কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তেহেরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেহরানির ছেলে জুনেইদ সেহরানি। এর আগের এনকাউন্টারে জখম হয়েছিলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান এবং দুই পুলিশকর্মী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে নিহত হন এক পুলিশ কনস্টেবলও। তবে রবিবারের এনকাউন্টারে নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।