করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দিয়ে বিভিন্ন জেলা ভেঙে পুলিশ-জেলা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। একই ভাবে পথ-নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোটা বাংলাতেই ট্র্যাফিক ব্যবস্থার পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেই নতুন পরিকাঠামো পরিচালনার জন্য রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশে ২৫৭৭টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় খোলা হচ্ছে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমও।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। তাতে জানানো হয়েছে, নতুন ২৫৭৭টি পদের মধ্যে ১৭০০টি কনস্টেবলের। পুলিশের গাড়ি চালানোর জন্য ১৭৭ জনকে নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া এএসআইয়ের পদ ৪৪০টি, এসআইয়ের পদ ১৭০টি, ইনস্পেক্টর-পদ ৭৫টি, ডিএসপি-পদ ১২টি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তিনটি পদ আছে। ওই সব পদের কর্মী-অফিসারেরা বিভিন্ন জেলার ট্র্যাফিক পুলিশে কাজ করবেন। রাজ্য পুলিশের আইজি (ট্র্যাফিক) তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘গোটা রাজ্যেরই ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ আধুনিক ভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’
এদিন রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় ১৫টি রাজ্য সড়কের দৈর্ঘ্য চার হাজার কিলোমিটার। এ ছাড়াও রয়েছে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ২৭টি জাতীয় সড়ক। রাজ্য সড়ক বা জাতীয় সড়কে কোনও নজরদারি নেই বলে অভিযোগ। কলকাতা ও অন্যান্য পুলিশ কমিশনারেট ছাড়া এত দিন জেলায় যান-শাসন করার জন্য কোনও ট্র্যাফিক গার্ড কিংবা পৃথক পরিকাঠামো ছিল না।
এছাড়াও জাতীয় সড়কের নজরদারিতেও ঘাটতি থাকছিল। রাজ্য পুলিশের একাংশের বক্তব্য, পৃথক পরিকাঠামো না-থাকায় বিভিন্ন জেলায় পথ-দুর্ঘটনার তদন্তে তেমন অগ্রগতি হচ্ছিল না। তাই রাজ্যের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তুলতেই প্রতিটি জেলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্র্যাফিক পরিকাঠামো রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।