রাজ্যে অমিত শাহের ভার্চুয়াল র্যালি হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় ঘর ভাঙছে বিজেপির। সম্প্রতি, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অন্ডাল ৪ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক ভারতী ধীবর ও তাঁর অনুগামীরা। সেই একই সময়ে মেদিনীপুরের গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের দুই নম্বর কড়সা অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মীসভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মীকে নিয়ে যোগ দেন বিজেপি নেতা কবিরুল ইসলাম। আর এবার বিজেপির ঘর ভাঙল লাল মাটির দেশ পুরুলিয়াতেও।
যেই পুরুলিয়ায় লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ফল খুবই খারাপ ছিল, বছর ঘুরতে ঠিক সেখানেই দলে দলে মানুষ গেরুয়া শিবির থেকে যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুলে। রবিবার পুরুলিয়ার কাশীপুর বিধানসভা এলাকায় প্রায় ১৫২টি পরিবার যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। এরা প্রত্যেকেই বিজেপি করতেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন ওই গ্রামবাসীরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যোগদানকারীদের মধ্যে আমডিহা অঞ্চলের বিজেপির বুথ সভাপতিও রয়েছেন। যোগদানকারী প্রত্যেকেই বলেন, ‘বিজেপি শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেক উন্নয়নের কাজ করছে। তাই তৃণমূলেই যোগ দিলাম।’
লক্ষ্যণীয় বিষয়, যে জেলাগুলি লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছে, সেখানেই ভাঙন হচ্ছে। যা বিধানসভার আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। উল্লেখ্য, শুধু রবিবারই নয়, বেশ কয়েকদিন ধরেই পুরুলিয়ার বাগমুণ্ডি, রঘুনাথপুরের মতো এলাকা থেকে দলে দলে বিজেপি নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলে। যা নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে বিজেপির।