একেই করোনার প্রকোপে দেশে ত্রাহি ত্রাহি রব৷ রোজ বাড়ছে আক্রান্ত্রের সংখ্যা৷ তবে সুস্থতার হারও বাড়ছে৷ কিন্তু করোনার জেরে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে নজরদারিতে ধাক্কা খাচ্ছে পুরসভা। বাড়ির আনাচে-কানাচে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে কি না, তা জানতেই পারছেন না পুরকর্মীরা।
শহরবাসী করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার বিষয়ে সচেতন না হলে, আগামী দিনে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে। সচেতনতাই ডেঙ্গির বিরুদ্ধে একমাত্র দাওয়াই বলে মনে করছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
তিনি জানান, “একা পুরসভার পক্ষে ডেঙ্গি মোকাবিলা সম্ভব নয়। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অনেকেই করোনা আতঙ্কে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে কি না, তা কী করে জানবে পুরকর্মীরা? শহরবাসীকেই সচেতন হয়ে নিজের বাড়ি এবং আশপাশ এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে। জল জমতে দেওয়া যাবে না”।
করোনার আতঙ্কে পুরকর্মীদের বাড়ির চত্বরে ঢুকতে না দেওয়া উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ। ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে অতীন ঘোষের। প্রতিটি বরোর সঙ্গে আলোচনা করে, কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তার রণকৌশল ঠিক করছেন। সচেতনার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’