সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ফৌজের আক্রমণে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গেটা দেশে। সেই ঘটনার তিন দিন পরে, গত রাতে সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের ১০ জন সেনাকে সোমবার রাত থেকে আটকে রেখেছিল চীনা সেনা। গত কাল বিকেলে তাঁরা মুক্তি পান। সেনা সূত্র থেকে ঘরোয়া ভাবে মুক্তির বিষয়টি জানাজানি হলেও প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত এ খবর স্বীকার করা হয়নি, আবার অস্বীকারও করা হয়নি। চীনা বিদেশ মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, তাদের হাতে ‘এখন’ কোনও ভারতীয় সেনা বন্দী নেই।
বিরোধী এবং প্রাক্তন সেনাকর্তাদের একাংশের প্রশ্ন, কেন তিন দিনের মাথায় দেশবাসী জানতে পারলেন যে ১০ জন চীনের হাতে বন্দি ছিলেন? কেউ নিখোঁজ নেই বলে কেন গত কাল বিকেলেও দাবি করেছিল কেন্দ্র? বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন দেশের মানুষকে ধোঁয়াশায় রেখে দিয়েছিল সরকার? রাহুল গান্ধী যেমন বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই চীন আক্রমণ শানায়। কিন্তু ভারত সরকার সমস্যাকে অস্বীকার করে উল্টে ঘুমিয়ে পড়ার নীতি নেয়।’ সরকারের একটি অংশের যুক্তি, ওই সেনাদের ছাড়ানোর প্রশ্নে দফায় দফায় আলোচনা চলছিল। জাতীয় স্বার্থেই আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে সংঘর্ষের পরে ১০ ভারতীয় সেনাকে আটক করে চীন সেনা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন মেজর ও ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার চার অফিসার। মূলত মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকের পর তাঁদের ছাড়তে রাজি হয় চীন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেনারা ফেরার পর তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অনেকেরই দেহে চোট-আঘাত রয়েছে। তবে প্রত্যেকেরই অবস্থা স্থিতিশীল। এর পর প্রোটোকল মেনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় চীনা সেনা কেমন ব্যবহার করেছে, পরিভাষায় যাকে বলা হয় ডি-ব্রিফিং। সূত্রের মতে, ওই সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা হবে।