মণিপুরে বিপাকে বিজেপি সরকার। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি জানাল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট। তিন মন্ত্রী-সহ নয় বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বুধবারই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপির জোট সরকার। ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ফলে, মণিপুরে বিজেপি প্রবল সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস জোট।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এনপিপির চার বিধায়ক ছাড়াও আরও দুই বিধায়ক তাদের সঙ্গে শামিল হয়েছেন। বুধবারই ওই ছজন বিজেপির জোট ছেড়ে চলে আসেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন এই জোটের নাম হল সেকুলার প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট বা এসপিএফ। এই জোটের নেতৃত্বে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং। বৃহস্পতিবারই আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা ওকরাম ইবোবি সিং। রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, তৃণমূল, এনপিপি এবং নির্দল বিধায়করা কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। এই দলগুলির জোট সেকুলার প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্টের নেতৃত্বে মণিপুরে সরকার গঠন করতে চায়। এন বীরেন সিং সরকারের উপর থেকে ন’জন বিধায়ক সমর্থন তুলে নেওয়ায় সরকার গঠনের দাবি জানাল কংগ্রেস।
২০১৭ সালের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস। ৬০ আসনের মনিপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে যায় ২৮টি আসন। বিজেপি পায় ২১টি আসন। কিন্তু ঘুরপথে এনপিপির চার, এনপিএফের চার, তৃণমূলের এক, এলজেপির ১ এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়ে বিজেপি। রাজ্যপাল নাজমা হেপাতুল্লাও সেসময় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপিকে সরকার গড়তে আহ্বান করেন। এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বে মণিপুরে সরকার গড়ে গেরুয়া শিবির। পরে বেশ কয়েক দফায় মোট ৭ জন কংগ্রেস বিধায়কও পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। যাদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খোয়াতে হয়েছে। আদালত তাঁদের বিধানসভায় প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।