লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হন বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার ভুতুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামের যুবক রাজেশ ওঁরাও। সোমবার রাতে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় শহীদ হন রাজেশ। আজ গ্রামবাসীদের চোখের জলে পারিবারিক জমিতে সমাধিস্থ করা হল বাংলার এই বীর সেনানিকে।
বৃহস্পতিবার রাতে পানাগডড়ে আসে রাজেশের কফিনবন্দি নশ্বরদেহ। শুক্রবার সকালে বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে আসে সেনাবাহিনীর কনভযয়ের মাধ্যমে। বরাবরের প্রাণচঞ্চল সদাহাস্যময় পরোপকারী রাজেশ এবার গ্রামে ফিরলেন কয়েকজন সহকর্মী সেনা জওয়ানের কাঁধে চেপে। এই দৃশ্য দেখে গোটা এলাকার মানুষও পরিবারের সঙ্গে কেঁদে ভাসালেন। শেষ বেলায় পারিবারিক ভূমিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেহ সমাধিস্থ করা হল।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় ভাবে পরিবারকে সাহায্য করা হয় এদিন। এদিন রাজেশের দেহ গ্রামে আসার পর প্রথমে স্থানীয় খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলে সেখানে শ্রদ্ধা জানান রাজেশকে।
সেখান থেকে রাজেশের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ উঠোনে রেখে পারিবারিক রীতি-রেওয়াজে পারলৌকিক কাজ করা হয়। সেখান থেকে দেহ পারিবারিক ভূমিতে নিয়ে আসা হয়। মুখাগ্নি করার সময় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট জানানো হয়। শেষে সেনা বাহিনীর স্যালুট-এর মাধ্যমে শহীদ রাজেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় ছেলেকে নিয়ে দেখা পরিবারের লোকজনদের স্বপ্ন। ছুটিতে এসে অসমাপ্ত বাড়ির কাজ শেষ করার কথা ছিল। তারপর বাগদত্তার সঙ্গে বিয়ে। কিন্তু হল না কিছুই। সে সব করার আগেই রাজেশ শহীদ হয়ে ইহলোক ছেড়ে চলে গেলেন।