লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষের ঘটনাকে চীনের আগ্রাসী মনোভাবের প্রকাশ বলে চিহ্নিত করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও বরিষ্ঠ সেনেট সদস্য মিচ ম্যাকানো।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র এলাকা দখল নেওয়ার জন্য, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্ররোচিত করে ১৯৬২ সালের পর ভারতের সঙ্গে সবথেকে বড় হিংসাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়েছে।’ গুরুত্বপূর্ণ বিদেশনীতি সম্পর্কিত আলোচনা চলাকালীন তাঁর ভাষণে চীনের আগ্রাসী নীতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন ম্যাকানো।
আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির স্বার্থের কাছে চীন প্রধানতম বিপদ বলে জানান সেনেটর। তাঁর কথায়, ‘দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এই হিংসাত্মক ঘটনা সারা পৃথিবী যে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তেজনা প্রশমণে আমরা উৎসাহিত করছি এবং আশা করছি শান্তি ফিরে আসবে।’
কিন্তু একই সঙ্গে চীনের আগ্রাসী নীতি সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে ম্যাকানো বলেন, চীন তার দেশের অভ্যন্তরে কীভাবে মানুষকে অত্যাচার করে সেই সম্পর্কে পৃথিবীর যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে তারা গোটা বিশ্বের সমীকরণটিকে তাদের স্বার্থে বদলে দিতে চায় এবং পৃথিবীর মানচিত্রকে নতুন ভাবে পুনর্গঠিত করতে চায়।
করোনাভাইরাস অতিমারীকে চীন ধোঁয়ার মত ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেন মিচ ম্যাকানো। এই অতিমারীর আড়ালে তারা হংকংয়ে তাদের অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে এবং গোটা অঞ্চলে তাদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে। সমুদ্রে জাপানের সেনকাকু দ্বীপের কাছে তাদের দখলদারি মানসিকতার প্রকাশ পেয়েছে, কয়েকদিন আগেই চারবার তারা তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।