লাদাখ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ডাক উঠেছে চীনা পণ্য বয়কটের। সমস্ত চীনা পণ্য বয়কট করলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ভারতের। খুচরো ব্যবসায়ীদেরই প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলারের লোকসান হতে পারে বলে জানা যায়!
ইন্দো-চীন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছে ভারতীয়দের মনে। ফলে বুধবার থেকে দফায় দফায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় দেশবাসীকে। কোথাও রাস্তায় চীনা প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল দাহ, কোথাও তার ছবিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, কোথাও বা দোকান থেকে সমস্ত চীনা পণ্য বয়কট করে চলছে এই বিক্ষোভ। কিন্তু ভারতীয়দের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রকমারি চীনা পণ্য। বৈদ্যুতিন আলো থেকে মোবাইল ফোন সবেতেই ব্যবহার করা হয় চীনা সংস্থা নির্মিত পণ্য। সেই সবকিছু একধারে বয়কট করে দিলে হঠাৎই ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতি। আর সেই ক্ষতির পরিমান সামান্য কিছু নয়। এক ধাক্কায় প্রায় ১৭ বিলিয় ডলারের সমান! গোটা বছরে ভারতে প্রায় ৭৪ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানি করা হয়।
এবার ড্রাগনের দেশ থেকে আসা সেই পণ্যগুলোর বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, চীন থেকে সারা বছর আমদানি করা জিনিসের মধ্যে খুচরো ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূল্যের পণ্য। তার মধ্যে বেশিরভাগই খেলনা, পারিবারিক নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারযোগ্য জিনিস, বৈদ্যুতিন এবং ইলেকট্রনিক দ্রব্য এবং নানা রকমের প্রসাধনীও। ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক ভি কে বনসল বলেন, ‘আমাদের সকল সদস্যদের চীনা পণ্য মজুত ও বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়। সরকারকেও অনুরোধ করছি যাতে তারা ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে চাইনিজ পণ্য বিক্রিতে নিষিদ্ধাজ্ঞা জারি করে।’ কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকেও চীনা পণ্যের বিক্রি-বাটা বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।