শুক্রবার চিন-ভারত সংঘাত নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে বিকেল পাঁচটায় বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দেশের স্বার্থ জড়িত, তাই আমি নিজেই থাকব বৈঠকে।’ থাকার কথা রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীরও। তবে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ দল আম আদমি পার্টি ও লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-কে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ না-জানানোয় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সব দলের শীর্ষ নেতাকে ফোন করে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কেন আরজেডি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের নেতা তেজস্বী যাদব।
সূত্রের দাবি, যে দলগুলির সংসদে অন্তত পাঁচজন সদস্য রয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে রয়েছেন চারজন সাংসদ। আপ আমন্ত্রিত না হওয়ায় দলের নেতা সঞ্জয় সিং ট্যুইটে জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ইগো রয়েছে। দিল্লীতে সরকার চালায় আপ আর পঞ্জাবে আমরাই প্রধান বিরোধী দল। অথচ একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপের মতামতের প্রয়োজন নেই? এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশ।’ তবে ৫ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কেন আরজেডি-কে ডাকা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লালুর দলের এক নেতা মনোজ কুমার ঝা।
চীনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে মোদী শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে করবেন। সব বিরোধী দলই ‘দেশের পাশে আছি’ এই আশ্বাস দিলেও ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল ও ভারত পরবর্তী পদক্ষেপ কী করতে চলেছে তা তারা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। সে জন্যই এই বৈঠকের ডাক। ঘটনা হল, এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখের যা পরিস্থিতি, তাতে বিশেষ সুর চড়িয়ে চীনের সেনার সঙ্গে আলোচনা করার জায়গায় ভারত নেই, সে কারণে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে চীনা সেনাকে তাদের এলাকায় ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা৷ তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চীনা ফৌজ সরেনি বলেই খবর।