দিনের পর দিন আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। রোজই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মোট আক্রান্তের নিরিখে চীন ও ইরানকে টপকে গিয়েছিল ভারত।তারপর এগিয়ে গিয়েছে ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনের থেকেও। তবে রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা ভাইরাস। এবার যেমন গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২,৮৮১ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৩,৬৬,৯৪৬ জন।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মোট মৃত্যুর নিরিখে বেলজিয়ামকে টপকে বিশ্বের অষ্টম স্থানে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৪ জনের। দেশে মোট মৃত্যু হল ১২,২৩৭ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৪১২৮ জনের। গুজরাতে ১৫০৫ জনের। রাজধানী দিল্লীতেও মৃত্যু সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। সেখানে ১৪০০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু (৪৭৯), মধ্যপ্রদেশ (৪৬৫), উত্তরপ্রদেশ (৩৯৯), রাজস্থান (৩০১)।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১,১৬,৭৫২ জন করোনা আক্রান্ত, মারা গিয়েছেন ৫৬৫১ জন। তারপরেই আছে তামিলনাড়ু (৫০,১৯৩), দিল্লী (৪৭,১০২), গুজরাত (২৫,০৯৩), উত্তরপ্রদেশ (১৪,৫৯৮), রাজস্থান (১৩,৫৪২), পশ্চিমবঙ্গ (১২,৩০০), মধ্যপ্রদেশ (১১,২৪৪)।
উল্লেখ্য, ১ জুন থেকে সারা দেশে পঞ্চম দফার লকডাউন বা ‘আনলক ১.০’ শুরু হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত শেষ হয় চতুর্থবারের লকডাউনের মেয়াদ। লকডাউন ৫.০-র নির্দেশিকায় একাধিক ছাড়ের পাশাপাশি নাইট কার্ফুর কথা বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে রাস্তায় না বেরোন তার জন্য রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর অর্থ এই সময় কনটেইনমেন্ট জোন, গ্রীন, অরেঞ্জ বা রেড জোন, কোন জায়গাতেই এই সময় কেউ বের হতে পারবেন না। সব জায়গাতেই এই কার্ফু প্রযোজ্য হবে। তবে কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে সব জায়গাতেই রেল পরিষেবা বাদে প্রায় সবকিছুই ধাপে ধাপে খুলে যাবে এই লকডাউনে।