রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই কলকাতার পাশাপাশি তার যমজ শহর হাওড়া জেলাও রয়েছে রেড জোনে। এবার সেই হাওড়াতেই কোভিডে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া পুরনিগমের শেষ বোর্ডের মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী। একইসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ প্রশাসনের ওপরেও থাবা বসিয়েছে করোনা। আক্রান্ত হয়েছেন জগৎবল্লভপুর থানার ১১ জন পুলিশকর্মী।
সূত্রের খবর, গতকালই উত্তর হাওড়ার তৃণমূল নেতা গৌতম চৌধুরীর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে তড়িঘড়ি হাওড়ার গোলাবাড়ির কাছে আইএলএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, তাঁর মা-ও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, গৌতমবাবু হাওড়া শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি যে বহুতলে থাকেন সেটিকে স্যানিটাইজ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়াও তিনি এই সময়ের মধ্যে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে তৃণমূল পার্টি অফিসেও গৌতম চৌধুরী গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে জগৎবল্লভপুর থানার ১১ জন পুলিশকর্মীকে নিয়েও চিন্তায় রয়েছে জেলা পুলিশ। জানা গেছে, আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালে।
এমনিতে হাওড়া কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেকদিন। ভোট না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে সরকার। কিন্তু তাও বিভিন্ন কাজের সূত্রেই গৌতম চৌধুরী, বিভাস হাজরা, শ্যামল মিত্রের মতো হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র পারিষদরা কর্পোরেশনে যান। গৌতমবাবু কবে শেষ কর্পোরেশনে গিয়েছিলেন, কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেদিকে নজর রয়েছে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।