করোনার হানায় থেমে আছে সব। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র পথ। সে কথা মাথায় রেখেই আইএসএল শুরুর দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এখন থেকেই সকলের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, ভারতে ফুটবল শুরুর মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে কতজন বিদেশি ফুটবলারকে এদেশে খেলার ভিসা দেওয়া হবে প্রথম ট্রান্সফার উইন্ডোতে?
এ প্রসঙ্গে এটিকের সহকারী কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, ‘আইএসএলের সব ক্লাবই ২০২১-২২ মরশুম থেকে বিদেশির সংখ্যা কমিয়ে খেলতে একমত হয়েছে। এবার আমরা সাতজন বিদেশিকে রেখেই দল সাজাব। গত মরশুমে আমাদের খুব ভুগতে হয়েছে চোট সমস্যায়। তাই এবার ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে ফিটনেস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান চিফ কোচ হাবাস। একজন এশীয় রাখতে হবে। উইলিয়ামস থাকায় সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে না।’
তিনি জানান, ‘হাবাসের সঙ্গে যেটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে বাকিদের মধ্যে রয় কৃষ্ণা, কার্ল ম্যাকহিউ, এডু গার্সিয়া, জাভি ফার্নান্ডেজের থাকা নিশ্চিত। নতুন চুক্তি করা হয়েছে তিরির সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত জন জনসনকেও রাখার কথা আছে। তবে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন হাবাস। তাছাড়া যদি আইএসএলের নিয়ম মেনে ‘মার্কি’ বা ‘প্রডিজি’ ফুটবলার নিতে হয়, তাহলে পুরনোদের মধ্যে কাউকে ছাড়তে হবে।’ রয় কৃষ্ণার নতুন মরশুমের চুক্তির সই করা কপি এখনও না এলেও তাঁর থাকা নিয়ে সংশয় নেই এটিকে কর্তাদের মধ্যে।
সঞ্জয় মনে করেন, বিদেশিদের পাশাপাশি ঘরের ফুটবলারদের স্কোয়াডটাও সমান শক্তিশালী হওয়া জরুরি। এটিকে গতবারের দলে থাকা বলবন্ত, দেবজিৎ, শেহনাজ, লোবো, রিকি-সহ সাতজন ফুটবলারকে ছেঁটে ফেলছে। এবার ডিফেন্স লাইন আরও মজবুত করার দিকে নজর রয়েছে তাদের। তাই এটিকের নজর ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গানের দিকে। সঞ্জয়ের কথায়, ‘সন্দেশকে কে না নিতে চায়। চোটের জন্য সন্দেশও গতবার বাইরে ছিল। এখন ও ফিট। ওকে পেলে এটিকের ডিফেন্স অনেক জমাট হবে।’