শুধু বাংলা নয় দেশ জুড়েই পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম পরিচিতি সূচক গোবিন্দভোগ বা খাসচাল।
সুগন্ধী ধানের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন বা জিআই-ট্যাগও পেয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। এবার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর হাত ধরে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে রাজ্যের গোবিন্দভোগ চাল।
জেলার কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ডের নামেই এই চাল বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যে। রায়না-১ ও ২ ব্লক, খণ্ডঘোষ, জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়ে থাকে। দক্ষিণভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশেও এই সুগন্ধী ধানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষিণভারতের রাজ্যগুলিতে মূলত বিরিয়ানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এখানকার গোবিন্দভোগ চাল।
এই বিষয়ে জেলাশাসক বলেন, “গোবিন্দভোগ চালের বাজারে ভাল চাহিদা। কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ভাল আয়ের সুযোগ পাবে তাঁরা।” এছাড়াও জানা গেছে, রায়না-২ নম্বর ব্লকের কৃষক বাজারে গোবিন্দভোগ চালের মডেল প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। সেখানে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা গোবিন্দভোগ চাল চাষীদের কাছ থেকে কিনবেন। তা থেকে চাল তৈরি করবেন। উন্নতমানের প্যাকেজিং এবং কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড নেম দিয়ে তা বাজারে ছাড়া হবে।