দেশে লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। এই অবস্থায় ফের কাজের আশা জেগেছে ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকদের জন্য। ইন্দো–চীন সীমান্তে রাস্তা তৈরির কাজের জন্য ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রমিকদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত ও চীনা সেনার সংঘর্ষের পরে সেই ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
দুমকার ডেপুটি কমিশনার রাজেশ্বরী বি জানিয়েছেন, “গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন নিজে পতাকা তুলে ১৬০০ শ্রমিকের ট্রেন রওনা করিয়েছিলেন। ইন্দো–চীন সীমান্তে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবারও একটি ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। সেই ট্রেনে করেও ১৬০০ শ্রমিকের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাদাখে সংঘর্ষের কথা শোনার পর তা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই তা চালানো হবে।”
অন্যদিকে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলায় শ্রীনগর-লেহ হাইওয়ে জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গাড়ি ছাড়া সব যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনাবাহিনীর তিন ক্ষেত্রের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে হিমাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তে। সীমান্তবর্তী সব এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ পুলিশ সক্রিয় করে দিয়েছে প্রতিটি সিক্রেট এজেন্সিকেও। সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে লাহুল, স্পিতি এবং কিন্নর জেলার সব স্থানীয় মানুষকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। স্পর্শকাতর প্রতিটি অঞ্চলে হিমাচল পুলিশ এবং ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশকে মোতায়েন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।