করোনার জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন। সে কারণেই ২৫ মার্চ থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত একটা দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল কলকাতা শহরের শপিং মলগুলি। কিন্তু এখন লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়ে অর্থাৎ আনলকে ১-এর নিয়ম মেনে খোলা হয় শপিং মলের দরজা। নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় কত সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারবেন মলের ভিতরে। নয়া নিয়ম মেনেই এক সপ্তাহ পার করল শপিং মলগুলি। আর প্রথম সপ্তাহে ব্যবসা মন্দ নয়।
সাউথ সিটি মলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনমোহন বাগরি জানিয়েছেন, “মল খোলার পর এটিই ছিল প্রথম উইকএন্ড। সারা সপ্তাহ ধরে আস্তে আস্তে মানুষের মনে সাহস সঞ্চার হয়েছে শপিং মলে আসার জন্যে। তাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করতে শুরু করেছেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রবিবার বিকেল থেকে কমতে থাকে গ্রাহকদের সংখ্যা”।
তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, শহরের ৬টি প্রধান শপিং মল থেকে প্রথম সপ্তাহে রোজগার হয়েছে ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। তারমধ্যে সিংহভাগ ব্যবসা হয়েছে শনিবার। তবে বিভিন্ন বিক্রেতার মত, এই ব্যবসা ৩৫ কোটি ছাড়িয়ে যেত, যদি না রবিবার অত বৃষ্টি হত।
কোয়েস্ট মলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব মেহরা জানিয়েছেন, “এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। তবে আমাদের তরফে সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবসা মজুত রাখা হয়েছে”। পাশাপাশি অ্যাক্রোপলিসের জেনারেল ম্যানেজার কে বিজয়ন জানিয়েছেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা সাধারণ সময়ের তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষকে মলে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছি”।