আনলক পিরিয়ডে জরুরি পরিষেবার কর্মীদের কাজে ফেরাতে আংশিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে মুম্বই শহরতলিতে। তিনশো লোকাল ট্রেন চালিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যের জরুরি পরিষেবার কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা করলেও রেলকর্মীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে রেল বলে অভিযোগ তুলেছে কর্মী সংগঠনগুলি।
একেবারে তথ্য প্রমাণ দিয়ে রেলকর্মীদের বক্তব্য, কর্মীদের কাজে মৌখিকভাবে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। মোবাইল মেসেজ না থাকায় নির্ধারিত নির্দেশ প্রমাণ হচ্ছে না। ফলে রেল অধিকারিকরা বলতে পারছেন, স্বইচ্ছায় কর্মীরা কাজে আসছেন। এতে করোনা সংক্রামিত বা মৃত্যু হলে কর্মীদের ঘাড়েই দায় চাপছে বলে ইউনিয়নের অভিযোগ।
পশ্চিম রেলের বসাই স্টেশনে দিন কয়েক আগে চার রেলকর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ৪৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাঁদের আইসোলেশন পিরিয়ড এখনও শেষ হয়নি। তার মধ্যে ট্রেন চালানো শুরু হল। এর আগে সুরাতে রেলের এক চিফ ইন্সপেক্টর টিকিটটের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর সঙ্গে কাজ করায় বাইশ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। যাঁদের মধ্যে দুই এডিআরএম ও একজন ডিসিএম আধিকারিক পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। উধনা স্টেশনে এক বুকিং ক্লার্ক আক্রান্ত। কোয়ারেন্টাইনে তাঁর সহকর্মীরা।
এদিক, রেলকীদের মধ্যে যখন সংক্রামণের সংখ্যা বাড়ছে তখন দক্ষিণ রেলের পেরাম্বুর ও চেন্নাই রেল হাসপাতালে একসঙ্গে দশজন মারা যাওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হাতেও চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশজুড়ে। রেলবোর্ডেও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মী সংগঠন গুলি ঊর্ধতনদের বারবার উপযুক্ত পদক্ষেপের আবেদন জানিয়ে চলেছেন। আদপে কোনও কাজই হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ। উপরন্তু রাজ্যের নির্দেশে কাজে যোগ দেওয়া কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাউথ ইস্ট সেন্ট্রাল রেলের কর্মী সংগঠন ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে, এই ধরনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া কর্মীদের রেল সিক লিভ (এলএপি) কেটে দিচ্ছে। পরিষেবা দিতে গিয়ে রেলকর্মীরা তবে কি জীবন বলি দিতে বাধ্য হবেন, এই প্রশ্ন তুলে সরব কর্মী থেকে সংগঠনগুলি।