সংকটের সময়েও কলকাতার মুকুটে আরও এক আন্তর্জাতিক সম্মান। প্রশাসনের এক অত্যাধুনিক পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানাল আন্তর্জাতিক মহল। ইলেকট্রিক বাস চলাচলে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। ফ্রান্সের দি ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আইইএ-র গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল আউটলুকের (জিভো) একটি রিপোর্টে সোমবার তা প্রকাশ পেয়েছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সব থেকে বেশি এবং ভালভাবে যাত্রী পরিষেবায় ইলেকট্রিক বাস চালাচ্ছে। যা দেশের অন্য কোনও রাজ্য করেনি। তাই জিভো ২০২০-তে কলকাতাকে রোল মডেল হিসাবে অন্যান্য দেশের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।
‘গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল আউটলুক-২০২০’র সমীক্ষায় কলকাতাকে রীতিমতো ‘রোল মডেল’ করে দেখানো হয়েছে। আইইএ-এর এনার্জি এফিসিয়েন্সি ডিভিশনের প্রধান বলেন, কলকাতা গোটা বিশ্বের শহরগুলির মধ্যে অনুপ্রেরণামূলক কাজ করে চলেছে। এই ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণপরিষেবার পরিকল্পনারও তারিফ করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে আপাতত ৮০টি বাস চালানো হলেও পরবর্তীতে তা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে।
প্রসঙ্গত, পরিবেশকে দূষণহীন করতে ও যাত্রী পরিবহণে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে কলকাতায় বেশকিছু ইলেকট্রিক বাস চলাচল শুরু করেছে। সেই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাল ফ্রান্সের দি ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের কাছে যা অত্যন্ত গর্বের, সম্মানের বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কলকাতা ছাড়াও চীনের সেনজেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি, চিলির সেন্টিওগো বৈদ্যুতিক বাস চালানোয় দৃষ্টান্ত রেখেছে। প্যারিসের ওই সংস্থার এহেন প্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।