করোনা মহামারী ও উম্পুন ঘূর্ণিঝড় উত্তর পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং রাজ্যে কোন কোন প্রকল্পের কাজ চলছে, এবার রাজ্যবাসীকে তা জানাতে উদ্যোগী হল নবান্ন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের হাল হকিকত জানাতে রাজ্য জুড়ে খোলা হচ্ছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খুব শীঘ্রই রাজ্যের সব কটি ব্লক, মহকুমা ও জেলাস্তরে এই কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি রাজ্যের সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পোষিত সব গ্রন্থাগারেও এই কেন্দ্র খোলা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্র খোলার জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন যাতে জুলাই মাসের মধ্যেই ওই সব কেন্দ্র খুলে যায়।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, গতিধারা, প্রচেষ্টা, যুবশ্রী, গীতাঞ্জলী, নিজ ভূমি নিজ গৃহ, সবুজশ্রী, সুফল বাংলার মতো প্রকল্প সম্পর্কে আমজনতা যাতে জানতে পারেন তার জন্যই ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ চালু হতে চলেছে বলে নবান্ন। এই কেন্দ্রে এলে যে কেউ জানতে পারবেন রাজ্য সরকারের কোন কোন প্রকল্পের জন্য কারা কারা আবেদন করতে পারবেন, আজ পর্যন্ত এই প্রকল্পে কতজন মানুষ উপকৃত হয়েছে ইত্যাদি। সব থেকে বড় কথা এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ খুলে যাচ্ছে। ঠিক হয়েছে জুলাই মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে এই কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্র খোলা হবে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের কার্যালয়ে, মহকুমা শাসকদের কার্যালয়ে, বিডিও অফিসে, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পোষিত গ্রন্থাগারে। এর জন্য রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব(পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর) ড. এম ভি রাও ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে ওই নির্দেশনামা জানিয়ে দিয়েছেন সব জেলাশাসককে। শুরুতেই ২৭৪৪টি ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ বা বিএসকে খোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৪২টি বিএসকে খোলা হবে বিডিওদের কার্যালয়ে, ৬৬টি বিএসকে খোলা হবে এসডিওদের কার্যালয়ে এবং ২৩টি বিএসকে খোলা হবে জেলা শাসকের অফিসে। এরই পাশাপাশি ১৫০০ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রাজ্য সরকার–পোষিত ৮১৩টি গ্রন্থাগারেও এই বিএসকে খোলা হবে। প্রতিটি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে থাকবেন ২ জন করে কর্মী, ২টি করে কম্পিউটার ও স্ক্যানার–সহ প্রিন্টার এবং ইন্টারনেট পরিষেবা।