দিনের পর দিন আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। রোজই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মোট আক্রান্তের নিরিখে চীন ও ইরানকে টপকে গিয়েছিল ভারত।তারপর এগিয়ে গিয়েছে ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনের থেকেও। তবে রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা ভাইরাস। এবার যেমন গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫০২ জন। এই ধারা চলতে থাকলে দেশে করোনার সংক্রমণ শীর্ষ ছুঁতে পারে মাঝ-নভেম্বরে। আর তখনই ঘাটতি দেখা দিতে পারে আইসিইউ-শয্যা ও ভেন্টিলেটরের। এমনই বলছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) গঠিত অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপের সমীক্ষা।
সমীক্ষা বলছে, লকডাউনের ফলেই ভারতে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে ৩৪ থেকে ৭৬ দিন দেরি হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গুছিয়ে নেওয়ার সময় মিলেছে। সংক্রামিতের সংখ্যা যা হওয়া উচিত ছিল, তার চেয়ে ৬৯ শতাংশ থেকে ৯৭ শতাংশ কম। বস্তুত, এই লকডাউনের ফলেই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোয় ঘাটতি হবে না। কিন্তু তার পরেই ৫.৪ মাস ধরে আইসোলেশন শয্যার অভাব দেখা দিতে পারে, আইসিইউয়ের শয্যার টানাটানি চলতে পারে ৪.৬ মাস এবং ভেন্টিলেটরের ঘাটতি থাকতে পারে ৩.৯ মাস ধরে। পরিকাঠামোর বর্তমান অবস্থার নিরিখেই এই আশঙ্কা।