গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করায় পুরুলিয়ার ১ নম্বর ব্লকের ডুরকু পঞ্চায়েত এবার বিজেপি-র হাত থেকে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে এল। পুরুলিয়া শহরের রাঁচি রোডে বিজেপি-র দুই পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন বাউরি, সুজাতা মাহাতো ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্যাণী সিং সর্দার তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। তবে বিজেপি-র ওই তিন সদস্য ছাড়াও এদিন বহু নেতা-কর্মী বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন।
মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘পুরুলিয়ার ডুরকু গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্য ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজেপি থেকে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন। এর ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের নিয়ন্ত্রণে এল।’ দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১০টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পায় ৬টি, সিপিএম ১টি, তৃণমূল পায় ৩টি আসন। দুই বিজেপি সদস্য যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের সদস্য হল ৫। ফলে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপি–র। সদ্য দলত্যাগী বিজেপি-র সদস্যরা বলেন, ‘বিজেপি–তে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। এতবড় করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের জেলার একমাত্র সাংসদকে মানুষ দেখতে পাননি। আমরাও মানুষের জন্য কিছু করতে পারিনি, তাই আজ আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’
যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো, পুরুলিয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শিবরাম কালিন্দী-সহ ব্লকের নেতারা। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার কাশীপুর বিধানসভার হুড়া ব্লকের রখেড়া-বিষপুরিয়া অঞ্চলের রামপুর গ্রামের ৮৫টি পরিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার হাত ধরে বিজেপি দল থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন।