নভলেখা এলাকার বেঙ্গলি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়েছিল ইসলামিয়া করিমিয়া গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের পড়ুয়াদের। সেই মতো বুধবার সেখানে পরীক্ষা দিতে যান ইসলামিয়া করিমিয়ার ৪০ জন ছাত্রী। যাঁদের মধ্যে ৩৯ জন মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, পড়ুয়ারা মুসলিম, তাই তাঁদের সকলকে চড়া রোদে স্কুলের ছাদে বসানো হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। এরপর সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তাঁরা। এমনকি কামিয়া কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বেঙ্গলি হায়ার সেকেন্ডারির বিরুদ্ধে।
যদিও বিভাজনের অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসলামিয়া স্কুলের পড়ুয়ারা সকলেই কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দা। তাই তাঁদের আলাদা করে বসানো হয়েছিল সংক্রমণ এড়াতে। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক কোনও বিষয় নেই। এমনকি পড়ুয়াদের খোলা ছাদে বসানোর বিষয়টিও সঠিক নোয় বলেই জানিয়েছে বেঙ্গলি সেকেন্ডারির শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের মোটেই খোলা ছাদে বসানো হয়নি। তাঁদের মাথার উপর ছাউনি ছিল, যাতে তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার সময় কোনও কষ্ট না হয়।
এ প্রসঙ্গে জেলার শিক্ষা অধিকর্তা রাজেন্দ্র মাখওয়ানা বলেন, ‘কন্টেইমেন্ট জোন থেকে আসা পড়ুয়াদের আলাদা করে বসার ব্যাবস্থা করার জন্য প্রশাসনের তরফে স্কুলগুলিতে নির্দেশিকা পাঠান হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘পড়ুয়াদের খোলা ছাদে রোডের মধ্যে বসানো হয়নি। তাঁদের ছায়াতেই বসানো হয়েছিল। তাঁদের রোল নম্বর অনুযায়ী বসান হয়েছিল, নাম দেখে নয়। পড়ুয়াদের মধ্যে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের ছাত্রীও ছিল, তাই আর এর সঙ্গে হিন্দু বা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।