বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির চাপে বাধ্য হয়েই দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের নিজের রাজ্যে পৌঁছনোর কাজ শুরু করেছিল রেল। গত মে মাসেই চালু হয়েছিল ১৫ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এর পরে ১ জুন থেকে আরও ১০০ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আর নতুন করে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাড়াতে রাজি নয় রেল। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’-কে এমনটাই জানিয়েছেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব। আরও ট্রেন বাড়ানোর জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে যাদব সাফ জানিয়েছেন, এখন যে ট্রেনগুলি চলছে তাতে মেরেকেটে ৬০ শতাংশ যাত্রী হচ্ছে। এছাড়া কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের আবার কাজের জায়গায় যাওয়ার স্পেশাল ট্রেন চালানোরও পরিকল্পনা নেই রেলের।
প্রসঙ্গত, এই মহূর্তে দেশে মোট ২৩০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন টাইম টেবল মেনে চলছে। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের দাবি, ‘ওই ট্রেনগুলিতে ৬০ শতাংশ আসনে যাত্রী হচ্ছে। যতদিন না এই ট্রেনগুলি যাত্রীপূর্ণ হচ্ছে ততদিন নতুন করে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই রেলের। ফাঁকা অথবা আংশিক পূর্ণ ট্রেন চালানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ট্রনে ভর্তি না হলেও যাত্রীদের রেল একটাই কথা বলতে চায়, খুব প্রয়োজন না হলে এখন ট্রেন সফর করার দরকার নেই। কিন্তু যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেছিলেন, তাঁদের কাজের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কি রেল বিশেষ ট্রেন চালাবে? এমন সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘একবার যাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন চাকরিদাতা অর্থাৎ সংস্থাই তাঁদের কাজের জায়গায় যাওয়ার টিকিট কেটে দেবে। এর জন্য রেল কোনও ব্যবস্থা করবে না।’