একেই করোনা সংক্রমনের জেরে লকডাউন, তার ওপর আবার ঘূর্ণিঝড় উম্পুন। এই দুইয়ের জেরে এতদিন দীঘার সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া নিষেধ ছিল মৎস্যজীবিদের। কিন্তু প্রায় ৮০ দিন পর দীঘার সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে বাংলার মৎস্যজীবিদের। আর এই সময়ে ইলিশের ফলনের কথা মাথায় রেখে বাঙালির পাতে রুপোলি শস্য দিতে বদ্ধপরিকর মৎস্যজীবিরা।
সঠিক সময়ে বর্ষার আগমন, অনুকূল প্রকৃতি, সমুদ্রে দূষণের মাত্রা কম থাকায় চলতি বছরে দীঘার সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণ ইলিশের প্রজনন ঘটেছে বলে দাবি মৎস্য বিশেষজ্ঞদের। এবারে ইলিশের প্রজননের সময় মৎস্যজীবিরা সমুদ্রে নামতে পারেননি। এর ফলে খোকা ইলিশ তুলতে পারেনি তাঁরা।
আর ঠিক এই কারণেই প্রায় বেশিরভাগ ইলিশের ওজন ১-১.৫ কেজি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। প্রতিবছর খোকা ইলিশের রমরমাতে বাঙালির পাতে বড় সাইজের ইলিশের ঘাটতি দেখা যায়। বাজারে মিললেও আকাশ ছোঁয়া দাম মধ্যবিত্ত বাঙালির নাগালের বাইরে চলে যায়। কিন্তু চলতি বছরে তেমনটা হবে না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। কারণ করোনার জন্য ইলিশের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এবছরের দীঘা থেকে ওঠা সমস্ত ইলিশ কলকাতা কিংবা বাংলার বাজারেই থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ইলিশের প্রজননের সময়টাতে লকডাউন থাকায় মৎস্যজীবিদের জাল না পড়ায় খোকা ইলিশগুলি এই মুহূর্ত্বে প্রায় ৫০০ গ্রামের উপরে চলে গিয়েছে। আর এরইমধ্যে বর্ষা এসে যাওয়ায় ইলিশের বৃদ্ধির সম্ভাবনা আশা জাগিয়েছে। দীঘা থেকে এই বছরে কোনোভাবেই ইলিশ বাইরে রফতানি করা হবে না। তাই ১ কেজি ওজনের বড় ইলিশ মাছ ও চলতি বছরে খুবই কম দামে পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।