করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে আগামী মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ টেস্টের সিরিজ। কিন্তু নতুন করে ক্রিকেট শুরু হওয়ার আগেই বড় বিতর্ক শুরু হয়েছে বল পালিশ করা নিয়ে। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি ইতিমধ্যেই থুতু দিয়ে বল পালিশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে বেশ কয়েকটি উপায়ের কথাও বলেছেন শচীন তেন্ডুলকর এবং প্রাক্তন অজি পেসার ব্রেট লি।
শচীনের নিজস্ব অ্যাপ ‘১০০ এমবি’-তে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার লি বলেছেন, ‘আমরা আট-ন’ বছর বয়স থেকে বল থুতু দিয়ে পালিশ করতেই অভ্যস্ত। আমাদের সে রকম করতেই বলা হয়েছিল। এখন দুম করে এই অভ্যাসটা বোলারদের পক্ষে বদলানো কঠিন। এর উপরে নজরদারি করাটাও সোজা কাজ নয়।’ আইসিসির কাছে লি-র আবেদন, কেউ বলে একবার থুতু লাগালে যেন তাঁকে শাস্তি না দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, আইসিসি সেরকমই নিয়ম জারি করেছে যে, প্রথমবার ভুল করলে কোনও শাস্তি পাবে না বোলার।
কুম্বলের কমিটি থুতুর বিকল্প হিসেবে ঘাম ব্যবহারের কথা বলেছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে বলে মনে করেন লি এবং শচীন। লি-র সঙ্গে আলাপচারিতায় মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, ‘ঠান্ডার দেশে তো ঘাম হয় না। সেখানে কী হবে?’ উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের নাম করেছেন শচীন। তাঁর সঙ্গে সহমত লি-ও। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসারের মতে, ‘ঠান্ডার দেশে এই নিয়মে বোলারদের কোনও লাভই হবে না। তাই থুতু দিয়ে বল পালিশ না করা গেলে এমন একটা কোনও পদার্থ বার করতে হবে যা ব্যবহার করা যাবে। যাতে করে বোলাররাও খুশি হবে, ব্যাটসম্যানরাও। কারও কোনও সমস্যা থাকবে না।’
এই পরিস্থিতিতে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন বোলাররা। তা হলে রাস্তা কী? শচীন দুটো উপায়ের কথা বলছেন। এক, মোম দিয়ে পালিশ। দুই, টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা। আইসিসি-কে ক্রিকেট ঈশ্বরের পরামর্শ, ‘একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের ওজনের মোম প্রতি ইনিংসে ফিল্ডিং দলকে দেওয়া হোক বল পালিশ করার জন্য।’ তেন্ডুলকরের দ্বিতীয় পরামর্শ, ‘টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা। সে ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি সময় নতুন বলের সাহায্য পাবেন পেসাররা। এখন ৮০ ওভারের পরে নতুন বল আনা যায়।’ ঠিক একই পরামর্শ দিয়েছেন ব্রেট লি-ও।