করোনা সংক্রমণ আগে সম্প্রতি চরম সতর্কতা জারি করেছিল ‘হু’। তারা সতর্ক করে বলেছে, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা সংক্রমণের দাপট। এদিকে দিল্লীর উপমুখ্যমন্ত্রী গতকালই বলেন, তাঁদের অনুমান শুধু দিল্লীতেই জুলাইয়ের শেষের মধ্যে আরও ৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে চলেছে। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বাঙালি বিজ্ঞানী ভ্রমর মুখোমাধ্যায় ২৩ মে যা অনুমান করেছিলেন তাই সম্ভবত এবার সত্যি হতে চলেছে। জুলাই মাসেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লক্ষ ছাড়াবে। এবং এরপর থেকে ১৩ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভারত ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে গোটা পৃথিবীর মধ্যে। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এ দেশেই। ভারতে সংক্রমণের ছবিটা যে ক্রমেই ভয়াল হচ্ছে তা আগাম জানিয়েছিলেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় এবং জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ভারতীয় বংশোদ্ভুত বায়োস্ট্যাটিস্টিক্স ও সংক্রমণবিদ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁরা ১৬ মার্চ থেকে বিষযটি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা প্রথমে বলেন, এপ্রিল-মে-তে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়াবে এবং ক্রমেই সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে।
বাস্তবেও প্রতি ১২-১৩ দিনে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। ভ্রমরের দাবি এ ক্ষেত্রেও সত্যি হতে চলেছে। তাঁর অনুমান জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে শুধু দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়াবে। সেক্ষেত্রে ৬০০০ নতুন করোনা বেড তৈরি করাই দিল্লী প্রশাসনের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। দিল্লী প্রশাসনেরই অনুমান, ৩০ জুনের মধ্যে দিল্লী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াবে। জুলাই মাসের শেষে সাড়ে পাঁচ লক্ষ আক্রান্ত হবে দিল্লীতে, মনে করছে প্রশাসন। নতুন শয্যা লাগবে অন্তত ৮০ হাজার।