লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে ছিলেন দেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের ঘরে ফেরানোর জন্য রেল মন্ত্রক স্পেশ্যাল ট্রেনের ব্যবস্থা করলেও, সেখানে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করেই উঠতে হচ্ছে শ্রমিকদের। আর সেই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনেই টিটিই সেজে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েই জরুরি ভিত্তিতে থামিয়ে দেওয়া হল ট্রেন।
রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সূত্রের দাবি, সেখানেই সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরে টিটিই সেজে তিনটি কোচে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ৯০৫ টাকা করে ঘুষ চায় দু জন। বিহারের এক শ্রমিক মুকেশ এন-এর অভিযোগ, ‘ওরা আমাদের টিকিটের জন্য টাকা দিতে বলে, কিন্তু আমাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না।’
১,৬৬৮ জন যাত্রী নিয়ে রবিবার সন্ধে ৬.০৮-এ কেএসআর বেঙ্গালুরু ছেড়েছিল ট্রেনটি। কেন্দ্র কোনও সাহায্য না করায়, রাজ্য সরকার বিনামূল্যে তাঁদের সফরের ব্যবস্থা করেছিল এবং পরিচিতির জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট দিয়েছিল রেল। হোয়াইটফিল্ড রাইজিং নামে যে সংস্থা সেই পরিযায়ীদের ফিরতে সাহায্য করেছে, তারা টুইটে জানায় যে ট্রেন থেকেই পরিযায়ীদের ফোন পায় তারা। টুইটে বলা হয়, ‘কমপার্টমেন্টে ইউনিফর্ম পরে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের থেকে টিকিট চাইছে লোকেরা। তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন এস১০, এস১১ এবং এস১২ কোচের যাত্রীরা।’
সেই টুইটের জবাব দিয়েই বেঙ্গালুরুর ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অশোক কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, ‘আমরা যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করছি। ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করছি।’ এরপর হিন্দুপুর স্টেশনে জরুরিভিত্তিতে থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটি। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলের আধিকারিকরা। কেএসআর বেঙ্গালুরু থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আরপিএফ। ফুটেজে কয়েকজন লোককে সাদা-কালো পোশাক পরে ট্রেনে উঠতে দেখা গিয়েছে। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রেল।