উম্পুনের পর থেকেই সবজির দাম চড়া। আর লকডাউনের সময় থেকে মাছের সরবরাহ কম। সে নিয়ে নাহয় কিছু বলার নেই। এই সময়ে গেরস্তের ভরসা ছিল মুরগির মাংস। লকডাউনের সময় এই মুরগিই অনেকটা স্বস্তি দিয়েছিল মধ্যবিত্তকে। রাতারাতি সেই মুরগির দাম ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে। শুধু মুরগিই নয়, দাম বেড়ে গিয়েছে আলুরও। অর্থাৎ, মধ্যবিত্ত বাঙালির হেঁসেলে চাপ বেড়েছে।
ব্রয়লারের মাংসের দাম পৌঁছে গিয়েছে কিলো প্রতি ২৮০-৩০০ টাকায়। দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা। তবে এই দুর্দিনে মানুষকে কিছুটা হলেও ভরসা জোগাচ্ছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হরিণঘাটা চিকেন। হরিণঘাটার স্টলে এখনও ফ্রোজেন চিকেন পাওয়া ১৪০ টাকা কিলো দরে।
পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের অন্যতম কর্মকর্তা সর্বজিৎ বিশ্বাস জানান, “লকডাউনের শুরুতে গুজবের কারণে পোলট্রি মুরগির দাম তলানিতে এসে ঠেকেছিল। একটি দু’কেজি ওজনের মুরগি উৎপাদন করতে গড়ে ১৮০ টাকা খরচ হয়। সেই মুরগি চাষিদের বিক্রি করতে হয়েছে ৭০ টাকায়। তার জেরে চাষিদের বিপুল আর্থিক লোকসান হয়েছে। ক্ষতির আশঙ্কায় ছোট ও মাঝারি চাষিরা মুরগি চাষ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার উপর উম্পুনের জেরে দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ মোট পাঁচটি জেলায় পোলট্রি খামার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই মুরগির জোগান কমেছে”।
শুধু মুরগির মাংসই নয়, বাজারে আলুর দামও চড় চড় করে বাড়ছে। পেঁয়াজের দামকে টপকে সোমবার কলকাতার বিভিন্ন খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে কিলোপ্রতি ২২-২৪ টাকা দরে। ৩০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে চন্দ্রমুখী আলু।