লকডাউনে কাজ খুইয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। সেই ধারা এখনও চলছে। বেকারত্বের জ্বালা পৌঁছেছে এক অভূতপূর্ব স্তরে। কিন্তু সারা দেশের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার কম। এমনটাই জানাচ্ছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই-র সমীক্ষা।
এই সংস্থা জানাচ্ছে, লকডাউনের জেরে গত মে মাসে যেখানে সারা দেশের বেকারত্বের হার ঠেকেছে ২৩.৫ শতাংশে। সেখানে বাংলায় এই হার ১৭.৩ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিলেও প্রায় একই ছিল এই সংখ্যাটা। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ মাসে ভারতের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তখনও বাংলার বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে বেশ কম, ৬.৯ শতাংশ ছিল।
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হয়। করোনার দাপটে ভারত তো বটেই, সারা বিশ্বই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কলকারখানা, বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ হওয়ার জেরে এক দিকে বেড়েছে বেকারত্ব অন্য দিকে তীব্র আর্থিক সঙ্কট। সব মিলিয়ে অভূতপূর্ব আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে বিশ্ব।
কিন্তু দেশের তুলনায় এ রাজ্যের বেকারত্বের হার কম হওয়ার কারণ কী? বাংলায় ভারী শিল্পের অভাব? এই প্রসঙ্গে দ্য ইকনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, এ রাজ্যে ছোট ও অনুসারী শিল্পই বেশিরভাগ উৎপাদন করে। তাই বাংলার শিল্প বিশ্বব্যাপী চাহিদা-যোগানের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল নয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সে কারণেই বাংলায় বেকারত্বের হার অনেকটা কম।
সিএমআইই-এর এই রিপোর্ট তুলে ধরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র টুইটারে সওয়াল করেছেন, করোনা আর ঘূর্ণিঝড় উম্পুন, এই দ্বিমুখী বিপর্যয়ের মুখে পড়েও সারা দেশের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার কম।