লকডাউনের মধ্যেই বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বড় করিমের পর ফের সালাউদ্দিন সালেহিনের ঘনিষ্ঠ জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র এক সদস্যকে গ্রেফতার করল লালবাজারের পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শেখ রেজাউল ওরফে কিরণ নামে ওই সক্রিয় জেএমবি সদস্যকে ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, মূলত বীরভূমের বাসিন্দা সেখ রেজাউল দীর্ঘদিন ধরে জেএমবি-র সদস্য। খাগড়াগড়ে যখন হাতকাটা নাসিরুল্লা থেকে শুরু করে কওসর-এর মতো নেতারা সংগঠন তৈরি করছিল, সেই সময়ই জেএমবি-র সংগঠনে যোগ দেয় রেজাউল। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেজাউল গা ঢাকা দেয় খাগড়াগড় কাণ্ডে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর।
বেশ কিছুদিন ধরে ভিনরাজ্যে চুপচাপ বসে থাকার পর ফের সে কওসরের সংস্পর্শে আসে। কওসর তখন দক্ষিণ ভারতে ঘাঁটি তৈরি করে ধীরে ধীরে ভারতে সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ করছে। সূত্রের খবর, এই সময়েই জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিন বা বড়ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় রেজাউলের। এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদের দাবি, এই মুহূর্তে জেএমবি-র ভারতের সংগঠনের জন্য অর্থ জোগাড়ের দায়িত্ব যাদের ছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই রেজাউল।
পরবর্তীকালে আদর্শগত কারণে কওসর এবং বড়ভাই সাংগঠনিক ভাবে আলাদা হয়ে যায়। রেজাউল সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। এসটিএফের তদন্তকারীদের দাবি, সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে জেএমবি-র প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে ধরার কাজ সম্পূ্র্ণ হবে। তা হলে এ দেশে জেএমবি-র সংগঠন পুরো ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে।
কিন্তু গত দেড় বছর ধরে বার বার পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সালাউদ্দিন। তাই বড় ভাই সালাউদ্দিন ঘনিষ্ঠদের একে একে পাকড়াও করে সালাউদ্দিন পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টায় পুলিশ। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান মডিউলের মাথা আব্দুল করিমের গ্রেফতারির পর রেজাউলের গ্রেফতার সেই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। গোয়েন্দাদের দাবি, রেজাউল সাম্প্রতিক সময়ে সালাউদ্দিনের বার্তা এবং খবরাখবর সালাউদ্দিন ঘনিষ্ঠদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।