করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে এবার ডাক্তারদের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। হায়দ্রাবাদের সরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। যার ফলে বেশ কিছু হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হায়দ্রাবাদের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এ যাবৎ সরকারি হাসপাতালগুলির ৭৯ জন ডাক্তারের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ। এর ফলে তাঁদের সংস্পর্শে আসা নার্স, প্যারাডেমিক্যাল স্টাফ ও ইন্টার্নদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত শনিবার নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এনআইএমএস)-র ৪ জন ডাক্তার ও তিনজন প্যারামেডিক্যাল স্টাফ করোনা আক্রান্ত হন। সংক্রামিত ডাক্তাররা যে যে ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন সেখানকার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এনআইএমএস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের ২৬ জন ডাক্তার করোনা পজিটিভ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নার্সদের মধ্যেও।
অন্যদিকে, ওসমানিয়া মেডিক্যাল কলেজের ৪৯ জন ডাক্তার, গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের ৪ জন ডাক্তার করোনা আক্রান্ত। এনআইএমএস রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার জি শ্রীনিবাস বলেছেন, গত দু’সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্তভাবে ছড়িয়েছে। তাঁর দাবি, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিতে করোনা রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করছেন ডাক্তাররা, অথচ তাঁদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে।
ডাক্তার শ্রীনিবাসের বক্তব্য, ডাক্তার ও প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, ফেস গিয়ার ও হেড শিল্ড নেই শহরের হাসপাতালগুলিতে। অভাব রয়েছে পিপিই-রও। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এত তাড়াতাড়ি। ডাক্তার বা হাসপাতালের কর্মীরাই যদি একের পর এক আক্রান্ত হতে থাকেন, তাহলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য আর লোক পাওয়া যাবে না। একই দাবি হেলথকেয়ার রিফর্মস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার কে মহেশ কুমারেরও। তাঁর দাবি, সরকারি হাসপাতালগুলির ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের র্যান্ডম কোভিড টেস্ট করানো দরকার। অনেক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরাই হাই-রিস্ক গ্রুপে রয়েছেন।