একেই করোনা আতঙ্কে রীতিমত সন্ত্রস্ত ছিল বাংলা। তারমধ্যেই খাঁড়ার ঘা হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় উম্পুন। যার জেরে বাংলার ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উম্পুনের প্রভাবে গোটা রাজ্যের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নে বাংলায় আসা কেন্দ্রীয় দলের কাছে গতকাল এমনই রিপোর্ট দিল নবান্ন।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পরে দিল্লী ফিরে যাওয়ার আগে শনিবার বিকেলে নবান্নে এসে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রীয় দলের কাছে রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা বলে রাজ্য সরকারের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
উম্পুন তাণ্ডবের দু’সপ্তাহ পরে পরিদর্শনে এলেও উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এর ধ্বংসলীলা অনেকটাই দেখে গিয়েছে কেন্দ্রের দল। আকাশ, জল ও সড়কপথে গত শুক্র এবং শনিবার উম্পুন-বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা দেখেছেন সেই দলের সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ যেমন তাঁরা দেখেছেন, তেমনই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বোঝার চেষ্টা করেছেন তাঁদের দুঃসহ পরিস্থিতি।
দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কেন্দ্রীয় দলের। সুন্দরবন-সহ জেলার সমগ্র ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি ড্রোনে তোলা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ধরে ধরে ভিডিয়ো ও ছবি প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী। সুন্দরবনের ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে করোনার মোকাবিলা নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তাও জেলা প্রশাসনের থেকে বিশদে জানতে চায় কেন্দ্রীয় দল। এখন দিল্লীতে ফিরে কেন্দ্রের কাছে এই প্রতিনিধি দল কি রিপোর্ট জমা দেয়, সেদিকেই নজর বাংলার।