গত পরশুদিন সন্ধেবেলা করোনা সংক্রমণের নিরিখে একপ্রকার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইতালিকে পিছনে ফেলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছিল ভারত। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার রাতে ইউরোপের আর এক দেশ স্পেনকেও ছাপিয়ে করোনা ভাইরাসে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়ল ভারত। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৫৪। স্পেনের ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৩১০। জন হপকিন্সের ডেটা অনুযায়ী, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করোনায় একসময় মৃত্যুপরী হয়ে ওঠা ইউরোপের এই দুই দেশকে অতিক্রম করেছে ভারত। ভারতের সামনে এখন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ব্রিটেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,৮৮৭টি করোনা পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ। গত কয়েক দিন ধরে গড়ে রোজ সাড়ে ৯ হাজার করে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ছে। ভারতজুড়ে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৪২। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৭২ জন। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুস্থতার হার ৪৮.২০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ২৯৪ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ১৩৯ জনই মহারাষ্ট্রে। এ ছাড়া দিল্লীতে কোভিডের বলি ৫৮, গুজরাতে ৩৫, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশে ১২ জন করে, বাংলায় ১১ জন, তেলেঙ্গানায় ৮ জন, মধ্যপ্রদেশে ৭ জন, রাজস্থানে ৫ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ২ জন এবং জম্মু-কাশ্মীর, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরাখণ্ডে একজন করে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মারা গিয়েছেন।
ভারতে এ পর্যন্ত ৬,৬৪২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর মধ্যে মহারাষ্ট্রই শীর্ষে রয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকারি হিসেবে ২,৮৪৯ জন মারা গিয়েছেন। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১,১৯০ জনের। দিল্লীতে করোনার বলি ৭০৮। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ৩৮৪ জন। বাংলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬৬ জনের। উত্তরপ্রদেশে ২৫৭ জনের। তামিলনাড়ুতে ২৩২ জনের।
এ ছাড়া রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে যথাক্রমে ২১৮, ১১৩ ও ৭৩ জন করোনায় মারা গিয়েছেন। কর্নাটকে করোনার বলি ৫৭ জন। পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৬ জন, বিহারে ২৯ জন, হরিয়ানায় ২৪, কেরালায় ১৪, উত্তরাখণ্ডে ১১, উড়িষ্যায় ৮ ও ঝাড়খণ্ডে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশ ও চণ্ডীগড়ে ৫ জন করে মারা গিয়েছেন। অসমে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। চণ্ডীগড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। মেঘালয় ও লাদাখে একজন করে মারা গিয়েছেন।