২০১৯ সাল থেকেই মন্দার গ্রাসে দেশের অটোমোবাইল সেক্টর। তবে মনে করা হয়েছিল, গাড়ি বিক্রির চাকা একেবারে বসে গেলেও ২০২০ সালে নিশ্চয় হাল ফিরবে এই শিল্পে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর তার জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে এখনও রাহুমুক্তি ঘটল না দেশের গাড়ি বাজারের। বরং আরও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্পে।
সোমবার মারুতি সুজুকি জানিয়েছে, গত মাসে দেশে গাড়ি বিক্রি কমেছে ৮৮.৯৩ শতাংশ। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, হুন্ডাই মোটর এবং হন্ডা কারসের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৭৯ শতাংশ, ৮৪ শতাংশ এবং ৯৭ শতাংশ কমেছে।
হন্ডার ভারতীয় শাখার তরফে রাজেশ গোয়েল জানান, করোনা পরিস্থিতির জেরে গাড়ি বাজারে এক অভূতপূর্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আর মে মাসে ৭১০ টি গাড়ি বিক্রি করা ব্রিটিশ গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা এমজি মোটরসের কর্তা রাকেশ সিদানার বক্তব্য, লকডাউনে কিছু শোরুম বন্ধ ছিল। যন্ত্রাংশের জোগানে ধাক্কা লেগেছে এবং গাড়িঋণে বিভিন্ন শর্ত যুক্ত হওয়ায় বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।
একই হাল বিশ্ব বাজারেও। যেমন করোনার জেরে ১৯৪৪ সালের এপ্রিল মাসের পর গত এপ্রিলে ব্রিটেনে গাড়ি বিক্রির হার সর্বনিম্ন হয়ে গিয়েছিল। মে মাসে সেখান থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবু গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে ৯০ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে গাড়ি বিক্রি।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সোসাইটি অফ মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত মাসে প্রায় ২০ হাজার নতুন গাড়ির অর্ডার দিয়েছেন ক্রেতারা। যেখানে এপ্রিল মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৩২১। সে জায়গায় গাড়ি বাজার কিছুটা উন্নত হয়েছে বৈকি। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাসের সঙ্গে তুলনা করলে এই বছরের গাড়ি বিক্রির সংখ্যা নেহাতই সামান্য।