এবার স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলল শিল্পমহল। বণিকসভা সিআইআইয়ের সওয়াল, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি কতটা হাত ধরাধরি করে থাকে, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে করোনা। তাই স্বাস্থ্যে সরকারি বরাদ্দ দ্বিগুণ হোক। তবে করোনার আবহে বাজারে চাহিদার বৃদ্ধি নিয়ে সংশয়ী তারা।
সিআইআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট উদয় কোটাক বলেন, স্বাস্থ্যই যে সম্পদ, তা স্পষ্ট করেছে অতিমারি। অথচ এতে ব্যয় হয় ভারতের জিডিপির ১.৩ শতাংশ। প্রতিরক্ষার মতোই তা বড় মাপের হওয়া জরুরি। তবে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম শর্ত, চাহিদা বৃদ্ধি ও তা বহাল রাখা নিয়ে সংশয়ী উদয় ও বণিকসভার হবু প্রেসিডেন্ট (পরের বছরের) টি ভি নরেন্দ্রন। বলছেন, এ জন্য লগ্নি ও নগদ জোগান জরুরি সরকারি ও বেসরকারি দু’তরফেই। এই অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার সরাসরি কমার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। উদয়ের অবশ্য দাবি, এখন এই দগদগে ক্ষত নিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরার বিচার হোক মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে, বছরে নয়।
চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির রথের চাকা ঘোরাতে বৃহস্পতিবার ১০ দফা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিআইআইয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট উদয় কোটাক। সেখানেই উঠে এসেছে সরকারি সহায়তা ও সরকারি খরচ বাড়ানোর আর্জিও। তবে সবটাই রাজকোষ ঘাটতিতে ভারসাম্য রেখে।