কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তাই গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। তবে করোনা আবহে এই সামাজিক দূরত্বের নীতি এখনো দীর্ঘ দিন বজায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মিটিং, সমাবেশ সবই এখন ভিডিও কনফারেন্সই সারতে হবে। তাই সর্বত্র এই পরিকাঠামো তৈরির তৎপরতা শুরু হয়েছে। সেই পথে হেঁটে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরিকাঠামো তৈরি করা হল রাজ্য বিধানসভা ভবনেও। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে আপাতত তা করা হয়েছে। এর জন্য যা খরচ পড়েছে তা মেটানো হচ্ছে বিধানসভার তহবিল থেকে। এই ব্যবস্থার ফলে আগামীদিনে আর এই ধরনের বৈঠকের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এনআইসি’র মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না রাজ্য বিধানসভাকে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এই পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মঙ্গলবার অধ্যক্ষ নিজে ট্রায়াল দিয়ে বিষয়টির সঙ্গে সড়গড় হন। আগামী দিনে লোকসভা বা অন্য রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষদের সঙ্গে জাতীয় স্তরে বৈঠকের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে নবান্নের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অধ্যক্ষ বা বিধানসভার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লেখ্য, করোনা আবহে একদিন লোকসভার অধ্যক্ষ দেশের সব বিধানসভা অধ্যক্ষের সঙ্গে ভিডিও-বৈঠক করেন দীর্ঘ সময় ধরে। সে সময় বিধানসভা থেকে সাহায্য নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইসি’র। তারপরই নবান্ন বা পুরসভার মতো এই ধরনের স্থায়ী ও নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরির উপযোগিতা অনুভব করেন অধ্যক্ষ।