দিল্লী হিংসার একের পর এক চার্জশিটের পথ দিয়ে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দেওয়া ষষ্ঠ চার্জশিটে দেখা যাচ্ছে, উত্তর পূর্ব দিল্লীর ভাগিরথী বিহারে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, মানে যখন হিংসা চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠেছিল, তখন তৈরি করা হয় একটি হোয়্যাটস অ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপে ১২৫ জন সদস্য ছিলেন। তারপরেই দুই মুসলিম যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, সম্পর্কে দুই ভাই এই মুসলিম যুবকদের হত্যার সঙ্গেও এই হোয়্যাটস গ্রুপের যোগ থাকতে পারে।
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে সিএএ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছয়। তখন নিরাপত্তার কারণে আমির আলি (৩১) তাঁর ভাই হাসিম (১৯)-কে নিয়ে তাঁদের মামার বাড়ি চলে যান। দু’দিন পর তাঁদের বাবা বাবু খান, ফিরে আসতে বলেন বাড়িতে। তাঁরা রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মোটরসাইকেলে গোকলপুরীতে এসে পৌঁছন। এবং বাড়ি থেকে দাদাকে আসতে বলেন, কারণ রাস্তায় পরিস্থিতি ভাল ছিল না। কিন্তু তাঁদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি গোকলপুরী পুলিশ স্টেশনে পরিবারের লোক গিয়ে খোঁজ করলে খবর পাওয়া যায়, দু’জনেই মৃত্য। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হোয়্যাটস গ্রুপের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ১২৫ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপের কয়েকজন শুধু মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন আর দেখছিলেন। বাকি কয়েকজন প্রতক্ষ্যভাবে হিংসায় জড়িয়ে ছিলেন। প্রতক্ষ্যদর্শীদের বয়ান অনুসারে এখনও পুলিশ হাসিমের হত্যার জন্য ৯ জনকে ও আমিরের হত্যার জন্য ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।