সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, ‘বাংলার বিধানসভা ভোটই বিজেপির পাখির চোখ।’ একইসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন নিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানাও করেন। আর তারপরই বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে শাহকে পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অমিত শাহ ও গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে তাঁর তোপ, ‘আপনারা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নিয়েছেন। ভাড়া দিতে পারেন না, ভাষণ দেবেন না।’
মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘কেউ কেউ শুধু প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা নাকি ঢুকতে দিইনি। ঢুকতে না দিলে, সাড়ে ১০ লাখ শ্রমিক কীভাবে আসছে রাজ্যে?’ হিসাব উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘৬ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে ও ৪ লাখ বাসে ঢুকছে। এরমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ ইতিমধ্যেই ঢুকে গেছে।’ ১০ জুনের মধ্যে বাকিরাও রাজ্যে এসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে ভাড়া বাবদ ৪০ কোটি খরচ করেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেওয়া শুরু করেছিল, তা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘একমাত্র আমাদের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেয়নি। আপনারা তো ওদের ভাড়াও দেননি। ভাড়া দিতে পারেননি, এদিকে ভাষণ দিচ্ছেন। প্ররোচনার চেষ্টা করছেন।’
কেন্দ্রের ঘোষণার আগেই যে রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল, তা আজ ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়া অসংগঠিত ক্ষেত্রের বা ছোট ছোট উদ্যোগের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১ হাজার আর্থিক সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পে কোটি কোটি খরচ হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে খরচ হয়েছে রাজ্যের। আমরা কিন্তু, অন্য রাজ্যের মতো সরকারি বেতন কমানো বা জ্বালানি বাড়িয়ে দেওয়ার মতো কিছু করিনি।’